কাঁঠাল এর পুষ্টিগুণ

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ,কাঁঠাল খেলে কি হয়,কাঁঠাল এর ২০টি উপকারিতা,কাঁঠালের উপকারিতা,কাঁঠালের বিচির উপকারিতা,কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ,কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা,কাঁঠাল বিচির পুষ্টিগুণ ব্যবহার ও উপকারিতা,কাঁঠালের পুষ্টিমান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা,কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা,কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা,কাঁঠাল এর উপকারিতা,কাঁঠালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন,কাঁঠাল খাওয়া কি উচিত,কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা,কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতা

কাঁঠাল হলো আমাদের সকলের একটি পছন্দের ফল। কাঁঠাল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও গুনাগুণ। কাঁঠাল আমাদের দেশি একটি ফল, এছাড়া এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। এটি বাংলাদেশের একটি মৌসুমী ফল। কাঁঠাল এ প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, এটি আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টকে সহায়তা করে। এটি আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঁঠালের হলুদ যে অংশটা থাকে তা পুরোপুরি এ সমৃদ্ধ খাবার। আর ভিটামিন এ হলো একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ।

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়, আর এগুলোর অন্যতম কারণ হলো শরীরে প্রতিনিয়ত ফ্রি রেডিকেল উৎপন্ন হওয়া। এর কারনে আমাদের ক্যানসার ও হতে পারে। আর আমরা যদি এই খাবার গ্রহণ করি তাহলে অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবো।

এছাড়া দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে ভিটামিন এ এর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন বি৩। যা কিনা হরমোন রেগুলেট করে ইমিউনো সিস্টেমকে ভালো রাখে। এছাড়া বোন-হেলথ ভালো রাখে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। যা কিনা ক্যালসিয়াম শোষন এ সাহায্য করে, আর ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস আছে তাড়া এটি এড়িয়ে যাবেন। এছাড়া যেসকল পুষ্টিগুণ  মানুষ এর দেহের জন্য প্রয়োজন তা প্রায় সবই কাঁঠালের মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়া কাঁঠালকে পুষ্টির রাজা বলা হয়ে থাকে। এর প্রতিটা স্তরই পুষ্টির চমৎকার উৎস। এছাড়া কাঁচা কাঁঠাল, পাকা কাঁঠাল, খোসা,বীজ ও শিকড় সবই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে তরকারি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়।

কাঁঠাল এর উপকারিতা:

আসুন জেনে নেই কাঁচা এবং পাকা কাঁঠালের স্বাস্থ উপকারিতা-

১.আমাদের ব্লাড সুগার কে নিয়ন্ত্রন করে কাঁঠালে থাকা প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।

২. কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি আমাদের চুল, দাঁত ও মাড়ি কে সুস্থ রাখে।

৩. ক্যানসার ও টিউমার এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। 

৪. কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ রাতকান রোগ প্রতিরোধ এ সাহায্য করে।

৫. কাঁঠাল এর মধ্যে রয়েছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস । যা কিনা পাইলস, আলসার, কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। 

৬. এছাড়া বার্ধক্য ও উচ্চ রক্তচাপ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এ সাহায্য করে।

৭. এছাড়া এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমায়।

৮. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৯. তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

১০. এতে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে।

১১. কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি থাকার ফলে এটি খেলে তাৎক্ষণিক ভাবে শক্তি পাওয়া যায়।

১২. এটি হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

১৩. এটিতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত করে। যা কিনা অস্টিওপোরসিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

১৪. কাঁঠালে থাকা আয়রন যা লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

১৫. এটি টেনশন, নার্ভাসনেস ও বদ হজম কমাতে সাহায্য করে।

১৬. এটিতে থাকা বি-৬ হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমায়।

১৭. কাঁঠালের বিচিতে আছে শর্করা যা শক্তির উৎকৃষ্ট উৎস।

১৮. কাঁঠালের বিচিতে আছে প্রোটিন যা মাংসপেশি গঠনে ভূমিকা রাখে।

১৯. যে সকল মানুষ মাছ, মাংস কম খায় তাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে কাঁঠাল এর ভূমিকা অপরিসীম।

২০. এছাড়া কাঁঠাল এর বিচিতে জীবানুনাশক গুন রয়েছে।

২১. কাঁঠালের খোসা দিয়ে তৈরি করা যায় জেলি এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া এই জেলিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে করে। 

২২. কাঁঠালের শিকড় ডায়রিয়া ও জ্বর নিয়াময়ে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 

২৩. এর শিকড় চর্মরোগ এর জন্য খুবই কার্যকরী।

কাঁঠালের অপকারিতা:

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠাল এর যেমন অনেক উপকরীতা রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। আসুন এখন আমরা জেনে নেই কাঁঠাল এর কিছু অপকারিতা সম্পর্কে- 

১. যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের কাঁঠাল খাওয়ার জন্য কিছু বিধিনিষেধ আছে। 

২. যারা কিডনি রোগ এ আক্রান্ত, তাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো। 

৩. অধিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে বদহজম হতে পারে। 

৪. কাঁঠাল এ আমিষ এর পরিমাণ বেশি থাকায় হজম হতে বেশি সময় নেয়।

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন